রুদ্র উজ্জল সকাল। ঘড়ির কাঁটা তখন ১০টা ছুঁয়েছে। এতক্ষণে বিদ্যালয়ের মিলনায়তন কানায় কানায় ভরে গেছে। দর্শকসারির প্রথমেই বসেছেন সাবেক শিক্ষা ও এলাকার বিশিষ্টজনরা। মঞ্চের দুই পাশে সহকর্মীরা ফুলের তোরা নিয়ে দাঁড়িয়ে। এরপর সারি সারি বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা বসে চোখ রেখেছেন মঞ্চে। যেখানে বসে মানুষ গড়ার ৭জন কারিগর সুদীর্ঘকালের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করবেন।
এমন একটি দুর্লভ গল্পের ছবি ফুটে ওঠে গতকাল সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৭জন প্রবীণ শিক্ষকের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনায়। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ বাঁশকাইট পীতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এই আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেধা পুরস্কার বিতরণ করেন।
সুদীর্ঘকাল ধরে ৭ জন গুণী শিক্ষক নিজেদের সুনিপন হাতে মানুষ গড়েছেন। শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে কখনো তাঁদের জীবন কেটেছে অর্থকষ্টে, কখনো সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানি অনেক সহ্য করেছেন। তবুও সমাজে আলো ছড়ানোর মতো কাজটি করে গেছেন তাঁরা। কথাগুলো বলেন, আলোচক বিশিষ্টজনরা।
সংবর্ধিত শিক্ষকবৃন্দ হলেন, মো. সিরাজুল হক, বিধু ভূষন বিশ্বাস, মো. মোসলেহ উদ্দিন,শীতল চন্দ্র বিশ্বাস, মো. সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আবুল কাশেম, মো. ইউনুস মোল্লা ও দপ্তরী কানু চন্দ্র দাস।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি বাবু লিটন কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে, মো. আব্দুল মোন্নাফ মিয়া ও ওলিউল্লাহ স্যারের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী মুজিবুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, বীর মুক্তিযুদ্ধা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
বিদ্যালয়টির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মেধা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অভিভাবকসহ অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।