শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

ইবাদত-বন্দেগিতে একনিষ্ঠতার গুরুত্ব ও মর্যাদা

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৪৭৯ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইবাদত-বন্দেগি হবে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আর এ ইবাদত-বন্দেগিতে যদি একনিষ্ঠতা না থাকে, গভীর মনোযোগ না থেকে তবে তা হবে নিষ্ফল। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় একনিষ্ঠভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রকৃতপক্ষে ইবাদতে ইখলাছ বা একনিষ্ঠতাই হলো ইসলামের মূল বিষয়। আল্লাহ তাআলা তা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, ‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তার ইবাদত করতে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে এবং জাকাত আদায় করতে আর এটাই সঠিক ধর্ম।’ (সুরা বাইয়্যেনাহ : আয়াত ৫)

আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে শিরক হতে তাওহিদের প্রতি এবং দুনিয়ার সব ধর্ম হতে বিমুখ হয়ে শুধুমাত্র ইসলামের প্রতি ঝুঁকে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যেভাবে আদিষ্ট হয়েছিলেন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমি আদিষ্ট হয়েছি আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে তাঁরই ইবাদত (দাসত্ব) করি।’ (সুরা যুমার : আয়াত ১১)

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে ইখলাছ তথা একনিষ্ঠতাপূর্ণ ইবাদতকে তার জন্য নির্দিষ্ট করেছেনে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে এ কিতাব যথাযথভাবে নাজিল করেছি; সুতরাং আপনি আল্লাহর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর উপাসনা করুন। জেনে রাখুন! খাঁটি আনুগত্য শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলারই প্রাপ্য।’ (সুরা যুমার : আয়াত ২-৩)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নেক আমল তথা ইবাদত-বন্দেগির জোর তাগিদ দিয়েছেন।

উল্লেখিত আয়াতগুলো থেকে এ কথা পরিষ্কার যে, ‘ইসলামে ইবাদত-বন্দেগিতে একনিষ্ঠতা এক গুরুত্বপূর্ণ শর্তের নাম। দুনিয়া আগমনকারী সব নবি-রাসুলগণই ইবাদত-বন্দেগিতে একনিষ্ঠতার প্রতি আদিষ্ট হয়েছেনে।

পরিশেষে…
ইসলামি শরিয়তের সব দিক ও শাখায় আল্লাহর হুকুম পালনে এবং তার নৈকট্য অর্জনে একনিষ্ঠতার বিকল্প নেই। নিঃসন্দেহে নবি-রাসুলগণের দাওয়াতের মূলমন্ত্রেই ছিল ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা। তাওহিদ ও ইখলাস হলো কলব বা হৃদয়ের কর্মের সর্বোচ্চস্তর।
আল্লাহর দাসত্ব হলো অন্তরের কাজ। যদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা দাসত্ব করা হয় কিন্তু মানুষের অন্তর ইখলাস ও তাওহিদ থেকে শূন্য থাকে; তবে সে যেন একটি মৃত দেহ; যার কোনো রূহ নেই। আর নিয়ত হলো অন্তরের আমল।

আর এ ইখলাস তথা একনিষ্ঠতাই হলো ইবাদত কবুলের দু’টি শর্তের মধ্যে একটি। তাই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা ব্যতিত ইবাদত কবুল হবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামি শরিয়তের প্রতিটি কাজে মনে মননে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। ইখলাসের মাধ্যমে ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..